মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তার

 


কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীর উপর সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত আসামি ফজর আলী (৩৮) অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশ।


🕓 কখন ও কোথা থেকে গ্রেপ্তার?


রোববার (২৯ জুন) ভোরবেলা রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে, শুক্রবার রাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।


📅 কী ঘটেছিল ২৬ জুন রাতে?


পুলিশ জানায়, ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) রাতে হোমনা থেকে বাবার বাড়ি মুরাদনগরে বেড়াতে আসা এক নারীকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত ফজর আলী। ঘটনার সময় তিনি স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়লে গণপিটুনির শিকার হন। পরে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে, কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে যান পরদিন।


🕵️ কীভাবে ধরা পড়লেন ফজর?


ভিডিও ভাইরাল ও মামলার পর পুলিশের একাধিক ইউনিট তাকে ধরতে অভিযান শুরু করে। একদিকে প্রযুক্তিগত নজরদারি, অন্যদিকে ছায়া তদন্ত চলছিল। শনিবার রাতে একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, তিনি সায়েদাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


পুলিশ ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় নিশ্চিত হয় তার উপস্থিতি। এরপর ভোর রাতে সফল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


🗣️ পুলিশ কী বলছে?


কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানিয়েছেন,


> “ফজর আলী বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ছাড়াও ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।”




গ্রেপ্তার হওয়া বাকি চারজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


🧕 ভুক্তভোগীর পরিচয়:


ভুক্তভোগী নারীর স্বামী কর্মসূত্রে দুবাই প্রবাসী। তিনি দুই সন্তানের জননী এবং সম্প্রতি বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে এই ভয়াবহ ঘটনার শিকার হন। শুক্রবার (২৭ জুন) তিনি মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন