মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

 


কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত মূল আসামি ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের ঘটনার সময় বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ ও তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে।


🕵️‍♂️ পুলিশ সুপারের নিশ্চিতকরণ


রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান। তিনি জানান,


> “ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ধারণ ও ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত চারজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে।”




📸 ভিডিও ছড়ানোয় চারজন আটক


পুলিশের তথ্যমতে, গ্রেপ্তারকৃত চারজন—অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু—ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত।

এদের সবাই মুরাদনগরের পাঁচকিত্তা এলাকার বাসিন্দা। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।


🩺 আসামির শারীরিক অবস্থা


পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের সময় ফজর আলী আহত ছিলেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলেই তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।


📅 কী ঘটেছিল ২৬ জুন রাতে?


ভুক্তভোগী নারী হোমনা থেকে বাবার বাড়ি মুরাদনগরে বেড়াতে আসেন। সেই রাতেই পূর্বপরিচিত ফজর আলী কৌশলে তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন।

নারীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন, এবং ফজর আলীকে ধরে গণপিটুনি দেন। এই সময়েই চারজন ব্যক্তি ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন, যা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।


👩‍⚖️ মামলা ও তদন্ত


পরদিন ভুক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ফজর আলী আগে থেকেই তার পরিবারের পরিচিত এবং আর্থিক লেনদেনও ছিল।

ভিডিও ধারণ ও ছড়ানোর অভিযোগে আলাদা মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।



---


📌 গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একনজরে:


মূল আসামি: ফজর আলী (৩৮)


আটক ভিডিওধারী: অনিক, সুমন, রমজান, বাবু


অভিযোগ: ধর্ষণ + ভিডিও ধারণ ও ছড়ানো


অবস্থান: মুরাদনগর, কুমিল্লা


গ্রেপ্তার স্থান: সায়েদাবাদ, ঢাকা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন