মেহেরপুরে স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টার মামলায় স্বামী সেন্টু (৪০)কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ এস এম নাসিম রেজা এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সেন্টু গাংনী উপজেলার আকুবপুর বাজারপাড়ার বাসিন্দা ইমারুলের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইদুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঘটনার পেছনের কাহিনি
২০১৬ সালের ৫ জুন সেন্টুর বাড়িতে তার স্ত্রী সাগরিকা খাতুনের (২৫) মরদেহ পাওয়া যায়। সাগরিকার বাবা কুতুব উদ্দিন গাংনী থানায় জানান, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল করে মেহেরপুর মর্গে পাঠায়। তবে কোনো আত্মীয় অভিযোগ না করায় গাংনী থানার এসআই শহিদুল ইসলাম নিজেই অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন ১৯ জুন।
পরবর্তীতে তদন্তে অসঙ্গতি পেয়ে ২৬ ডিসেম্বর একই বছরের মধ্যে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন এসআই আবু বকর। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন, সুরতহাল ও ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য বিশ্লেষণ করে আবু বকর ২০১৭ সালের ২২ জুন আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন।
রায় ও প্রমাণ
২০১৭ সালের ২ আগস্ট আদালত পেনাল কোডের ৩০২ ও ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে প্রমাণিত হয়, সেন্টু পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন।
সব প্রমাণ উপস্থাপনের পর আদালত সেন্টুকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেন।
