ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে তারকারা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

 



কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে দরজা ভেঙে এক নারীর উপর ঘটে যাওয়া বর্বর যৌন সহিংসতার ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে নেমে এসেছে তীব্র ক্ষোভ।

এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকারাও সরব হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।


🎭 তারকারা যা বললেন:


আজমেরী হক বাঁধন নিজের অবস্থান তুলে ধরেন এক আবেগঘন পোস্টে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এই দেশে আমি কি নিরাপদ?” এবং জানান, নারীদের ওপর প্রতিদিনের সহিংসতা দেখে আর রাষ্ট্র বা সমাজে তার কোনো ভরসা নেই। তিনি বলেন, প্রতিবাদ করা হয় শুধু তখন, যখন কেউ জীবন হারায়—তারপর সবকিছু আবার স্তব্ধ হয়ে যায়।


রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাত্র একটি শব্দে: “ধিক্কার”, এবং যোগ করেন হ্যাশট্যাগ: #ধর্ষকের_শাস্তি_চাই।


নাসির উদ্দিন খান লিখেছেন, দেশের প্রতিটি ধর্ষণের বিচার দ্রুত হওয়া উচিত। নারী বা শিশু—সবাই নিরাপদ থাকা উচিত। তিনি আর কোনো ‘যদি-কিন্তু’ চান না, চান কড়া আইনি ব্যবস্থা।


তোমা মির্জা এই ঘটনায় সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় লেখেন, “মুরাদনগর, কুমিল্লা! বীভৎসতা! লজ্জা…”


মিশা সওদাগর প্রত্যাশা করেন, প্রতিটি ধর্ষকের কঠোর শাস্তি হোক, এবং প্রত্যেক নারী যেন নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারেন।


নুসরাত ফারিয়া ছোট বার্তায় লেখেন: “Stop Rape.”


প্রার্থনা ফারদিন দীঘি সবাইকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে লেখেন: “ধর্ষণকে না বলুন। নীরবতা মানেই সমর্থন।”


আরশ খান তাঁর ফেসবুক বার্তায় লিখেছেন, ধর্ষণ কাপুরুষতার চূড়ান্ত রূপ, এবং যারা এই অপরাধ করে তারা সমাজের সবচেয়ে ঘৃণিত শ্রেণি।


মৌসুমী হামিদ নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন: “মানুষ আর মানুষ নেই। পৃথিবী যেন শেষের দিকে।”


জিয়াউল রোশান জনসমক্ষে ফাঁসির দাবিতে সরব হন। তার মতে, অপরাধী যেই হোক, ধর্ম বা দল দেখার কিছু নেই। যারা ভিডিও ছড়ায়, তারাও অপরাধে সমান অংশীদার।


গায়িকা পারশা মাহজাবীন পূর্ণী লিখেছেন, “বিবস্ত্র বাংলাদেশ।” — এই লাইনটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।



---


🛡️ সবার কণ্ঠে একই দাবি:


প্রতিটি পোস্টেই একটি বিষয় স্পষ্ট—এই বর্বর ঘটনার বিচার যেন বিলম্বিত না হয়। তারা চান, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক এবং নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।



---


✍️ লেখকের মতামত:


এই ঘটনার পর দেশের তারকারা যেভাবে সোচ্চার হয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। তাদের এই প্রতিবাদ হয়তো সমাজে একটি সচেতনতা তৈরি করবে, যেখানে সহিংসতা নয়—মানবিকতা হবে মুখ্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন