আটলান্টা, যুক্তরাষ্ট্র –
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) সামনে দাঁড়াতেই পারল না লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। আটলান্টার মার্সিডিজ–বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথমার্ধেই ৪-০ গোল হজম করে কার্যত খেলা থেকে ছিটকে পড়ে মায়ামি।
🎯 শুরু থেকেই একতরফা আধিপত্য
ম্যাচের মাত্র ৬ মিনিটেই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস প্রথম গোল করেন। এরপর একের পর এক আক্রমণে ধসে পড়ে ইন্টার মায়ামির রক্ষণভাগ। ৩৯ মিনিটে নেভেসের দ্বিতীয় গোল, ৪৪ মিনিটে তমাস আভিলেসের আত্মঘাতী গোল, আর প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আশরাফ হাকিমির গোলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-০।
🐐 মেসি ছিলেন, কিন্তু দেখা গেল না
মেসি মাঠে ছিলেন ঠিকই, তবে তাঁর প্রভাব ছিল প্রায় অদৃশ্য। পুরো প্রথমার্ধে তাঁকে বলের কাছাকাছি খুব একটা দেখা যায়নি। ধারাভাষ্যকারদের ভাষায়, “মেসি ছিলেন মাঠে, কিন্তু খেলার বাইরে।”
🤝 মেসি-সুয়ারেজ জুটি থেকেও সান্ত্বনা মিলল না
দ্বিতীয়ার্ধে ইন্টার মায়ামি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও গোলের মুখ দেখেনি। সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে লুইস সুয়ারেজের সামনে — মেসির নিখুঁত এক পাসে গোলরক্ষকের মুখোমুখি হলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হারানো সম্মানও আর ফিরে পেল না মায়ামি।
🔥 সাবেক শিষ্যদের হারিয়ে এনরিকের জোরালো বার্তা
পিএসজির কোচ লুইস এনরিকে তাঁর সাবেক শিষ্য মেসিকে হারিয়ে দলকে তুলেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। ম্যাচের আগে যে উত্তাপ ছিল, মাঠে তা একতরফা পরিণতির মধ্যেই ম্লান হয়ে যায়।
🆚 সামনে কে?
এখন পিএসজির সামনে চ্যালেঞ্জ আরও বড়। তাদের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে হবে ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো অথবা জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ–এর। যেই দলই হোক, পিএসজি যদি এই ফর্ম ধরে রাখতে পারে, তাহলে সেমিফাইনালের টিকিট একপ্রকার নিশ্চিত বলা চলে।
---
✍️ লেখকের পর্যবেক্ষণ:
এই ম্যাচটি মেসি ভক্তদের জন্য হতাশাজনক হলেও ফুটবলের বাস্তবতা—কখনো উজ্জ্বল আলো, কখনো ধূসর ছায়া। পিএসজি আবারও প্রমাণ করল তারা ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে মাঠে নামলে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতেই জানে।
